হোমিওপ্যাথির মূলনীতি, দর্শন বুঝতে হলে যথেষ্ট জ্ঞান খাটাতে হয়। গভীরভাবে চিন্তা না করলে বুঝা যায় না। যেখানে হোমিওপ্যাথি নিয়ে যারা পড়াশোনা করে তারাই সহজে বুঝতে পারেনা, সেখানে যারা হোমিওপ্যাথি নিয়ে কোন পড়াশোনাই করে নাই, তারা হোমিওপ্যাথিকে কিভাবে বুঝবে !!!
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক। রোগীর শারীরিক মানসিক সব লক্ষন সংগ্রহ করে সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে লক্ষণ সমষ্টি নির্ধারণ করে ওষুধ নির্বাচন করতে হয়। তাই কোন রোগে কোন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এর নাম মুখস্থ বলা যায়না।
হোমিওপ্যাথির প্রতিটি ওষুধ এক একটি মনি-মুক্তা। এক একটি রোগ ধ্বংসকারী অত্যন্ত কার্যকরী অস্ত্র। প্রতিটা রোগের জন্য অনেকগুলো হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবহৃত হয়। লক্ষণ অনুযায়ী প্রতিটা ওষুধই যথেষ্ট কার্যকরী। কিন্তু রোগীর জন্য যে ওষুধটা দরকার সে ওষুধটি না দিয়ে যদি রোগীকে আরেকটা ওষুধ দেওয়া হয় রুগীর কোন উপকার হবে না। অথচ যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে, সে ওষুধটিও খুবই উন্নতমানের ওষুধ, ভালো কোম্পানির ওষুধ । কেন উপকার হলো না ? কারণ এই রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী যে ওষুধটি দরকার তা তাকে দেওয়া হয়নি।
এইজন্য কেউ যখন বলে, একটি ওষুধের নাম বলেন, যা খেলে এই অসুখ ভালো হয়ে যাবে, তখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক একটি ওষুধের নাম এভাবে বলতে পারেন না। কিভাবে বলবেন ? বিস্তারিত লক্ষণ না জেনে, না শুনে। এই সময় যাদের হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই তারা মনে করে, ব্যবসায় লস হবে, ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলবে বলে ডাক্তার ওষুধের নাম বলে না।
আসলে এখানে কোন একটি ওষুধের নাম বলার দ্বারা ডাক্তারের কোন ক্ষতি নেই। ডাক্তারের মাথায়তো অনেক ওষুধের নামই আছে। একটি নাম বলে দিলেই হলো। ওষুধে কাজ কি হলো না হলো সেটাতো কোন ব্যপার না। কিন্তু ক্ষতিতো হবে আপনার। কারন যে উপকার করতে পারে অবশ্যই তার ক্ষতি করার ক্ষমতাও আছে। আপনি যদি ভুল ওষুধ ভুল শক্তিতে ভুল মাত্রায় খান তা আপনার ক্ষতি করবে।আর উচ্চ শক্তির ভুল ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব আপনার দেহমনে রয়ে যাবে বহুদিন।
তাই অসুস্থ হলে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার কাছে সবকিছু বিস্তারিত বলুন। তিনি আপনার জন্য সঠিক ওষধটি নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন। ইনশাআল্লাহ উপকার হবে।
সকলের জন্য শুভ কামনা রইলো।
(কালেক্টেড)
No comments:
Post a Comment